January 27, 2021, 9:50 pm
নিজস্ব প্রতিবেদ : মেঘনা নদীতে বেপরোয়া চাঁদাবাজি করছে নৌ-পুলিশ। বৈদ্যেরবাজার নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির একটি দল প্রতিদিন ইঞ্জিন চালিত ট্রালার দিয়ে বিভিন্ন বালুবাহী বাল্কহেড ও জাহাজ থেকে ৩/৫ ‘শ টাকা করে চাঁদা আদায় করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ভোর ৫ টা থেকে দুপুর ১ টা ও বিকেল ৪ টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত চাঁদা আদায় করছে পুলিশ। নুনেরটেক থেকে মেঘনা সেতু পর্যন্ত নদী সীমানায় ইঞ্জিন চালিত ট্রলার দিয়ে পুলিশ চাঁদাবাজি করছে। চাঁদা না দিলে অমানবিক নির্যাতন করা হয় বলে একাধিক বাল্কহেড মালিক ও শ্রমিকরা জানায়।
সরেজমিনে মেঘনা নদীতে গিয়ে দেখা গেছে নৌ-পুলিশ মেঘনা নদীর সুলতানগর এলাকায় বিভিন্ন বালুবাহী ট্রলার, বাল্কহেড ও পন্নবাহী জাহাজ থেকে চাঁদা আদায় করছে।
নৌ-পরিবহন শ্রমিকরা জানায়, বৈদ্যেরবাজার নৌ-ফাঁড়ির কয়েক জন কনস্টেবল প্রতিদিন নদীতে চাঁদাবাজি করছে। বালুবাহী বাল্কহেড ও পন্নবাহী জাহাজ আসলেই পুলিশ তাদের ইঞ্জিন চালিত ট্রলার দিয়ে কাছে গিয়ে বালুবাহী ছোট ট্রলার ২‘শ ও বড় ট্রলার থেকে ৩‘শ,বাল্কহেড থেকে ৫শ ও জাহাজ থেকে ৫/১০ টাকা করে চাঁদা আদায় করে। চাঁদা আদায়ে সর্বাত্বক সহযোগীতা করছে পুলিশ বহনকারী ট্রলারের লোকজন। নদীর পাড়ের বাসিন্দা ও বিভিন্ন প্রত্যক্ষদর্শী ব্যবসায়ীরা জানায়, নদী তীরে পুলিশ ট্রলার নিয়ে অপেক্ষা করে। কোন বালুবাহী ট্রলার আসলেই পুলিশ তাদের ইঞ্জিন চালিত ট্রলার দিয়ে ছুটে গিয়ে চাঁদা আদায় করছে।
পুলিশের এই চাঁদাবাজি গত কয়েকমাস ধরে শুরু হয়েছে বলে তারা জানায়। নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানায়, নৌ-পুলিশ দিনে বালুবাহী ট্রলার ,বাল্কহেড ও পন্নবাহী জাহাজ থেকে চাঁদা আদায় করলেও রাতে অন্যান্য নৌ-পরিবহন থেকে চাঁদা আদায় করছে। চাঁদা না দিলে বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন করে পুলিশ।
সূত্রটি জানায়, নৌ-পুলিশের সহযোগীতায় নদী দিয়ে মাদকের বড় বড় চালান আসা যাওয়া করছে। এসব মাদক পাচারকারীদের কাছ থেকে নৌ-পুলিশ মোটা অংকের উৎকোচ পাচ্ছে বলে সূত্রটির দাবি। পুলিশের চাঁদাবাজি থেকে রক্ষা পেতে জেলা পুলিশ সুপারসহ উর্ধ্বতন মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন ভুক্তভুগিরা।
এব্যাপারে বৈদ্যেরবাজার নৌ-ফাঁড়ির ইনচার্জ দেলোয়ার হোসেনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি মেঘনা নদীতে নৌ-পুলিশের চাঁদাবাজির কথা অস্বীকার করেন ।
চাঁদা উঠানোর ভিডিওটি সোনারগাঁও খবর ডট কমের অফিসে সংরক্ষিত আছে।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.