April 17, 2021, 5:37 am
নিজস্ব প্রতিবেদক : সোনারগাঁও উপজেলার ঢাকা -চট্রগ্রাম মহাসড়কের টিপর্দী এলাকায় অবস্থিত চৈতি কম্পোজিটের বিষাক্ত বর্জ্য ফসলি জমি খাল-বিলে অবাদে ছেরে দেওয়ায় সোনারগাঁওয়ে পরিবেশ মারাত্মক ভাবে বিপর্য পড়েছে। শিল্পকারখানাটি উৎপাদিত সুতা তৈরী ও রং করার তরল বর্জ্য নিষ্কাষনের যথাযথ ব্যবস্থা না থাকায় বিষাক্ত বর্জ্যরে খালের পানি বিষক্রিয় হয়ে বিপর্যন্ত হয়ে পড়েছে ২০টি গ্রামের প্রায় ৫০ হাজার মানুষের জীবন। এলাকাবাসী জানায়, নারায়নগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলার পৌরসভা এলাকায় অবস্থিত চৈতি কম্পোজিট লিঃ শিল্পকারখানাটি সুতা তৈরি ও সুতা রং করার জন্য গত ২০০৬ সাল থেকে উৎপাদন শুরু করে । এই শিল্প কারখানাটির বর্জ্য নিষ্কাষনের যথাযথ ব্যবস্থা না থাকায় উৎপাদিত সুতা তৈরি ও সুতা রং করার তরল বর্জ্য মারিখালি নদীর সংযোগ খালের পানিতে বিষাক্ত বর্জ্য গুলো বের করে দেয়ার ফলে এলাকার পরিবেশের উপর বিরুপ প্রভাব পড়ছে। কারখানা থেকে বের করে দেওয়া বর্জ্যে খালের পানি বিষক্রিয়া হয়ে মোগরাপাড়া , বাড়ি মজলিশ, গোহাট্রা, ফুলবাড়িয়া, ষোলপাড়া, দমদমা, কাবিলগঞ্জ, দলদার , লেবুছাড়া, ভাটিপাড়া, বিন্নিপাড়া, ও পৌর এলাকার মল্লিকের পাড়া, টিপরদি, রতনদি, গোয়ালদিসহ প্রায় ২০টি গ্রামের ৫০ হাজার মানুষের জীবন বিপর্যন্ত হয়ে পড়েছে । এই বিষাক্ত পানিদিয়ে ব্যবহার করে এলাকার মানুষের পানিবাহীত রোগে আক্রান্ত হয়েপড়েছে। শিল্পকারখানার বিষাক্ত বর্জ্য খাল ছেরেদেয়ায় পানি থেকে চর্ম রোগসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ায় অত্র এলাকার কয়েকশত মানুষ। এব্যাপারে এলাকাবাসী স্থাণীয় প্রশাসন ও জেলা প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে বার বার অভিযোগ করেও কারখানার বিষাক্ত বর্জ্য নিষ্কাষন বন্ধের সুফল পায়নি। পানি সোধনা ঘার থাকলেও বন্ধ রাখা হয় সেটি। গভীর রাতে খালে ছেড়ে দেওয়া হয় ময়লা পানি। গত ২০০৮ সালের ৪ মার্চ পরিবেশ দুষন হওয়ার অভিযোগে পরিবেশ অধিদপ্তর ও যৌথবাহিনী কারখানার উৎপাদন বন্ধ করে সিল গালা করে দেয় ।
উল্লেখ্য, ইটিটিবি প্লান খাকলেও বন্ধ রাখায় সেটি। গভীর রাতে খালে ছেড়ে দেওয়া হয় বিষাক্ত বর্জ্য। এলাবাসী কয়েকদফা মানববন্ধন করেও পাচ্ছেনা কোন প্রতিকার। পরিবেশ অধিদপ্তর ও প্রশাসনের হস্তক্ষে কামনা করছেন ভুক্তভুগিরা।
সূত্র জানায় একটি প্রভাবশারী মহল ও কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের ছত্রছায়ায় চলছে শিল্প কারখানাটি। যার ফলে অত্র এলাকায় বিষাক্ত বর্জ্য মিশ্রিত খালের পানির দূর্গন্ধে রোগ বালাই ছাড়া ও লোকজন মুখে কাপড় বেধে চলাচল করছে। এলাকার মানুষের কাছে অভিশপ্ত হয়ে পড়েছে এই শিল্প কারখানাটি।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.